আজ ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

দুর্নীতির প্রশ্নে জাবেদের চ্যালেঞ্জ


অনলাইন ডেস্কঃ মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার মন্ত্রণালয়ে এক টাকার দুর্নীতিও হয়নি বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এ বিষয়ে প্রয়োজনে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দল গঠনের কথাও বলেন তিনি। এছাড়া কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন তিনি।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার (২ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ কথা বলেন।

লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিদেশের সম্পদ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নেননি।

জাবেদ বলেন, তার বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেছেন। তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেছেন। এরপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন।

আরও পড়ুন সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি

নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশে সম্পদ থাকার কথা গোপন করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, হলফনামা পুরোপুরি বাংলাদেশের আয়কর রিটার্নের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। এতে বিদেশে সম্পদের তথ্য দেওয়ার আলাদা কোনো ছক নেই। বাড়তি তথ্য কেন দিতে যাবেন? তিনি বলেন, বিদেশে তার আলাদা আয়কর নথি আছে। আর বিদেশে যে সম্পদ আছে, এর পেছনে ব্যাংকঋণ আছে।

মন্ত্রী থাকার সময় লন্ডনে ব্যবসার বিপুল সম্প্রসারণের বিষয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারি তার জন্য সুযোগ হয়ে আসে। সে সময় লন্ডনে বাড়ির দাম পড়ে যায়। ব্যাংকঋণের সুদ কমে যায়। সে সময় তিনি ঝুঁকি নিয়ে লাভবান হয়েছেন।

নিজেকে আগে ব্যবসায়ী পরে রাজনীতিক বলে উল্লেখ করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, নিজের নামে সম্পদ করেছেন জেনেবুঝে। কারণ, তার সন্তানদের তখন মালিক হওয়ার মতো বয়স ছিল না। তার বিদেশের সম্পদের পরম্পরা (ট্রেইল আছে) আছে। সুতরাং, নিজের নামে সম্পদ করেছেন জেনেই।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর